নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার-০৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান কক্সবাজার শহর থেকে অনতিদূরে রামুর বাইপাস এলাকায় একটি সেমিনারে বক্তব্যকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে তাঁকে কক্সবাজার থেকে রাজধানীর একটি অত্যাধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রামুর যে বাইপাস চত্বরে তাঁর ভাই ও সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন ঠিক তারই কাছাকাছি একটি
রেষ্টুরেন্টে সেমিনার চলাকালে সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান অসুস্থ হয়ে পড়েন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ২টার দিকে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তাঁর রাজনৈতিক ও পারিবারিক সুত্র গুলো মতে, সেমিনারে বক্তব্যকালে হঠাৎ ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান বুকে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করে চেয়ারে বসে পড়েন। কিছুক্ষণ বসে থাকার পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে দ্রুত রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে দ্রুত তাঁকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

সুত্র মতে, জেলা সদর হাসপাতালে আনার পর দ্রুত ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামানকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। ওখানে কয়েকঘন্টা চিকিৎসা নিয়ে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সন্ধ্যা ৭টায় বেসরকারি একটি ফ্লাইটে তাঁকে রাজধানীতে নিয়ে যাওয়া হয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামানকে রাজধানীর
বিশেষায়িত আধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্র এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পারিবারিক সুত্র মতে, দুই বছর আগে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামানের হৃদযন্ত্রের
বামপাশে একটি রিং পরানো হয়। এবার তিনি হার্টঅ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন। দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা না পেলে যে কোন কিছু ঘটে যেতে পারতো।

এদিকে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান তাঁর ফেসবুক একাউন্টে সবার দোয়া চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি ওই স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “ আল্লাহ মহান, আজ দুপুর
২টায় রামুতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় আমি বুকে ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়ি। প্রথমে রামু ও পরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে এখন ঢাকায় বিমানে ইমার্জেন্সি
যাচ্ছি। সবাই দোয়া করবেন।”